আপনি কি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট খুঁজছেন? আমরা জানি এটা একটি সাধারণ প্রশ্ন, কিন্তু উত্তরটি সহজ নয়। কারণ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নয়, বিভিন্ন কাজের জন্য একাধিক ওয়েবসাইট রয়েছে। রেজাল্ট দেখার সাইট, ফরম ফিলাপের সাইট, স্টুডেন্ট পোর্টাল, ভর্তির সাইট, সেবা পোর্টাল—প্রতিটির আলাদা লিংক। এই বৈচিত্র্যের কারণে প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থী বিভ্রান্ত হয়ে যায়, ভুল সাইটে যায়, এবং সঠিক তথ্য খুঁজে পায় না।
এই আর্টিকেলটি সেই সমস্যার সমাধান করার জন্য তৈরি। এখানে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট এবং পোর্টালের সঠিক লিংক এবং প্রতিটির ব্যবহার নিয়ে পূর্ণাঙ্গ গাইড দিচ্ছি। এটি একটি "Quick Reference Guide" যা আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী সঠিক সাইটে নিয়ে যাবে।
নিচের টেবিলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রধান ওয়েবসাইট এবং পোর্টালের সঠিক লিংক এবং ব্যবহার দেওয়া আছে। আপনার কাজ অনুযায়ী সঠিক লিংকটিতে ক্লিক করুন।
এটি কী?
www.nu.ac.bd হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। এটি সবকিছুর হাব। যেকোনো সাধারণ বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য প্রথমেই এই সাইটে আসতে হয়।
এখানে কী কী পাওয়া যায়?
শিক্ষার্থীদের জন্য এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
আপনার কলেজে কোনো নোটিশ বোঝা না হলে বা মিস করে ফেলেছেন, তাহলে সরাসরি nu.ac.bd-তে গিয়ে সবচেয়ে সর্বশেষ নোটিশ দেখতে পারবেন। কোনো অফিসিয়াল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এই সাইটেই প্রথম আপডেট আসে।
টিপস: এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত চোখ রাখুন। সকাল ৯-১০টায় নতুন নোটিশ প্রকাশ করা হয়। একটি বুকমার্ক রাখুন বা Google News Alert সেট করুন যাতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট মিস না হয়।
এটি কী?
www.nubd.info/results হলো NU-এর সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ রেজাল্ট পোর্টাল। হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই সাইটে তাদের ফলাফল দেখে।
এই সাইট থেকে কী কী রেজাল্ট দেখা যায়?
এই সাইট থেকে রেজাল্ট দেখার ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া:
ধাপ ১: www.nubd.info/results ওয়েবসাইটে যান
ধাপ ২: আপনার প্রোগ্রাম নির্বাচন করুন। উদাহরণ: আপনি যদি অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র হন, তাহলে "Honours" মেনুতে ক্লিক করুন
ধাপ ৩: বছর নির্বাচন করুন। "Third Year" নির্বাচন করুন
ধাপ ৪: আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বর বা রোল নম্বর দিন
ধাপ ৫: সার্চ (Search) বাটনে ক্লিক করুন
ধাপ ৬: কয়েক সেকেন্ডে আপনার ফলাফল দেখা যাবে—প্রতিটি বিষয়ের মার্ক, গ্রেড ও GPA সহ
এই সাইটের সুবিধা:
এই সাইটের অসুবিধা:
পূর্ণাঙ্গ CGPA/Consolidated দেখতে কী করবেন?
এই সাইটে যান এবং আপনার প্রোগ্রাম থেকে "Consolidated" অপশন নির্বাচন করুন। উদাহরণ: "Honours" প্রোগ্রাম থেকে "Consolidated" বেছে নিন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিন। আপনার ৪ বছরের সমন্বিত GPA এবং ফাইনাল গ্রেড পয়েন্ট পাবেন।
এটি কী এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ems.nu.ac.bd/student-login হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল স্টুডেন্ট পোর্টাল। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী টুল। এখানে আপনার সব শিক্ষাগত তথ্য এবং সেবা একসাথে পাওয়া যায়।
এই পোর্টালে কী কী করা যায়?
ক) ফরম পূরণ (Form Fill-up):
খ) অ্যাডমিট কার্ড/প্রবেশপত্র দেখা এবং ডাউনলোড:
গ) রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং সনদপত্র:
ঘ) পূর্ণাঙ্গ CGPA/Consolidated Result দেখা:
ঙ) বিভিন্ন সার্টিফিকেট এবং তথ্যপত্র:
ধাপ ১: ems.nu.ac.bd/student-login ওয়েবসাইটে যান
ধাপ ২: আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বর বা রোল নম্বর দিন
ধাপ ৩: একটি পাসওয়ার্ড সেট করুন বা আপনার পূর্ববর্তী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
ধাপ ৪: প্রথমবার লগইন করলে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য (নাম, লিঙ্গ, জন্মতারিখ) সঠিকভাবে যাচাই করুন
ধাপ ৫: একটি সাম্প্রতিক ছবি আপলোড করুন (Passport size)
ধাপ ৬: লগইন করুন এবং আপনার ড্যাশবোর্ড দেখুন
পোর্টালে লগইন করতে সমস্যা হলে:
এটি কী?
results.nu.ac.bd হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল নতুন রেজাল্ট পোর্টাল। এটি প্রফেশনাল কোর্স, নতুন প্রোগ্রাম এবং আপডেট করা ফলাফলের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই সাইট থেকে কী কী রেজাল্ট দেখা যায়?
এই সাইটে কীভাবে রেজাল্ট দেখবেন?
ধাপ ১: results.nu.ac.bd ওয়েবসাইটে যান
ধাপ ২: বাম পাশে মেনু থেকে আপনার প্রোগ্রাম বেছে নিন (যেমন: Degree, Honours, Professional, Masters ইত্যাদি)
ধাপ ৩: বছর নির্বাচন করুন (First Year, Second Year, Third Year, Consolidated ইত্যাদি)
ধাপ ৪: আপনার রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিন
ধাপ ৫: সার্চ করুন এবং আপনার ফলাফল পাবেন—মার্কশিট সহ
এটি কী এবং কাদের জন্য?
www.nu.ac.bd/admissions বা admission.nu.edu.bd হলো নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্য এবং আবেদনের কেন্দ্রবিন্দু। যারা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান, তাদের জন্য এটি প্রথম গন্তব্য।
এই পোর্টালে কী কী পাওয়া যায়?
ক) অনার্স (Honours) ভর্তি:
খ) ডিগ্রী (Pass) কোর্স ভর্তি:
গ) মাস্টার্স ভর্তি:
ঘ) প্রফেশনাল কোর্স ভর্তি:
ধাপ ১: admission.nu.edu.bd ওয়েবসাইটে যান
ধাপ ২: যে প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চান তার জন্য "Apply" বাটনে ক্লিক করুন
ধাপ ৩: ভর্তির আবেদনপত্র পূরণ করুন—নাম, SSC রোল, HSC রোল, পছন্দের বিষয় ইত্যাদি
ধাপ ৪: আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং মোবাইল নম্বর সঠিকভাবে দিন
ধাপ ৫: আবেদন ফি জমা দিন (যদি প্রযোজ্য হয়)
ধাপ ৬: "Submit" করুন এবং সাফল্যের বার্তা পান
ভর্তির মেধাতালিকা এবং ফলাফল দেখুন:
এটি কী?
services.nu.ac.bd হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা সংক্রান্ত অফিসিয়াল পোর্টাল। এখানে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক সেবা এবং সার্টিফিকেট উত্তোলন করা যায়।
এই পোর্টাল থেকে কী কী সেবা পাওয়া যায়?
ক) সার্টিফিকেট উত্তোলন:
খ) কলেজ ট্রান্সফার (TC) আবেদন:
গ) মাইগ্রেশন এবং ছাড়পত্র:
সেবা পোর্টাল ব্যবহারের সংক্ষিপ্ত নিয়ম:
ধাপ ১: services.nu.ac.bd ওয়েবসাইটে যান এবং লগইন করুন
ধাপ ২: আপনার প্রয়োজনীয় সেবা নির্বাচন করুন (যেমন: Certificate, TC Application, Migration)
ধাপ ৩: আবেদনপত্র পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন
ধাপ ৪: ফি জমা দিন (যদি প্রযোজ্য)
ধাপ ৫: আবেদন সাবমিট করুন এবং reference number সংরক্ষণ করুন
এটি কী এবং কার জন্য?
collegeportal.nu.ac.bd হলো কলেজের প্রশাসনিক কর্মীদের জন্য একটি পোর্টাল। এখানে কলেজের প্রিন্সিপাল, অধ্যক্ষ, কম্পিউটার অপারেটররা লগইন করে শিক্ষার্থী ডাটা এন্ট্রি, ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ করে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই পোর্টালে লগইন করার প্রয়োজন নেই। এটি শুধুমাত্র কলেজ প্রশাসনের জন্য।
এটি কী?
এই দুটি লিংক থেকে আপনার পরীক্ষার প্রবেশপত্র (Admit Card) ডাউনলোড করা যায়। প্রবেশপত্র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট—এটি ছাড়া পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।
প্রবেশপত্রে কী কী তথ্য থাকে?
প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার নিয়ম:
ধাপ ১: www.nu.ac.bd/admit বা nubd.info/admit লিংকে যান
ধাপ ২: আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং পরীক্ষার নাম নির্বাচন করুন
ধাপ ৩: "Download" করুন এবং প্রিন্ট করুন (উভয় পাশে প্রিন্ট করা বেটার)
গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
যদি কোনো ওয়েবসাইট সম্পর্কে প্রশ্ন থাকে বা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে:

আমরা কে?
nunoticeboard.com একটি স্বাধীন শিক্ষামূলক ব্লগ যা বিশেষভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নই এবং এর সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
আমাদের লক্ষ্য কী?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জটিল এবং বিভ্রান্তিকর নোটিশ, প্রক্রিয়া এবং সিস্টেমগুলো সহজ বাংলা ভাষায় ব্যাখ্যা করে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা। আমরা বিশ্বাস করি যে সঠিক তথ্য এবং স্পষ্ট নির্দেশনা পেলে শিক্ষার্থীরা অনেক ঝামেলা এবং সময়ের অপচয় এড়াতে পারবে।
আমাদের প্রতিশ্রুতি:
প্রশ্ন ১: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট কোনটি?
উত্তর: মূল অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হলো www.nu.ac.bd । এটিই সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং আপডেট সোর্স।
প্রশ্ন ২: রেজাল্ট দেখতে কোন সাইটে যাব?
উত্তর: দুটি জনপ্রিয় সাইট আছে:
প্রশ্ন ৩: ফরম ফিলাপ করতে কোথায় যাব?
উত্তর: ems.nu.ac.bd/student-login এ লগইন করে "Form Fill-up" অপশন বেছে নিন।
প্রশ্ন ৪: CGPA দেখবো কীভাবে?
উত্তর: দুটি উপায় আছে:
প্রশ্ন ৫: স্টুডেন্ট পোর্টালে লগইন করতে পারছি না, করণীয় কী?
উত্তর:
প্রশ্ন ৬: সার্ভার ডাউন থাকলে বা ওয়েবসাইট খুলছে না কেন?
উত্তর:
প্রশ্ন ৭: কোন সাইট থেকে রেজাল্ট দেখলে সবচেয়ে নিরাপদ?
উত্তর:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটগুলোর বৈচিত্র্য প্রথম দিকে বিভ্রান্তিকর মনে হতে পারে, কিন্তু এখন আপনি জানেন প্রতিটি সাইট কীসের জন্য ব্যবহার করতে হয়। মনে রাখবেন:
এই গাইডটি সংরক্ষণ করুন এবং যখনই কোনো সমস্যা হয়, ফিরে আসুন। আমরা সর্বদা আপডেট তথ্য এবং সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত। আপনার শিক্ষাগত যাত্রা সুগম হোক!
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশোনা করা হাজারো শিক্ষার্থী প্রতি বছর নানা কারণে এক কলেজ থেকে অন্য কলেজে ট্রান্সফার বা কলেজ পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। অনেক সময় রিলিজ স্লিপে বাধ্য হয়ে দূরবর্তী কলেজে ভর্তি হতে হয়, আবার কখনো পরিবার স্থানান্তর, অভিভাবকের চাকরি বদলি, বিয়ে বা অন্যান্য মানবিক কারণে কলেজ পরিবর্তনের দরকার হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই জানেন না কীভাবে সঠিক নিয়মে এবং সহজভাবে কলেজ ট্রান্সফার বা টিসি (Transfer Certificate - TC) নেওয়া যায়।
এই সম্পূর্ণ গাইডে আমরা আপনাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ ট্রান্সফার সংক্রান্ত সব কিছু জানাব— টিসি কী, কারা আবেদন করতে পারবেন, কোন কোন কারণে টিসি পাওয়া যায়, কী কী কাগজপত্র লাগবে, কীভাবে ধাপে ধাপে অনলাইনে আবেদন করতে হবে, খরচ কত, এবং টিসি সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর। এই পোস্টটি পড়লে আপনি A থেকে Z পর্যন্ত সব তথ্য পেয়ে যাবেন এবং নিশ্চিন্তে কলেজ ট্রান্সফারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
কলেজ ট্রান্সফার বা TC (Transfer Certificate) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একজন শিক্ষার্থী তার বর্তমান কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে অন্য একটি কলেজে স্থানান্তরিত হতে পারেন এবং সেখানে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন। এটি মূলত একটি অফিসিয়াল অনুমতিপত্র যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রদান করে থাকে।
কলেজ ট্রান্সফারের প্রয়োজনীয়তা কেন হয়?
শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন যৌক্তিক ও মানবিক কারণে কলেজ পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে:
এই সকল কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট নিয়ম এবং প্রক্রিয়া তৈরি করেছে যাতে যৌক্তিক কারণে তারা কলেজ পরিবর্তন করতে পারেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এই শর্তগুলো বুঝে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শর্ত পূরণ না হলে আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে।
যোগ্যতার শর্তাবলী:
নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে টিসি আবেদন করা যাবে না:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খুবই সতর্কতার সাথে টিসি আবেদন যাচাই করে এবং শুধুমাত্র যৌক্তিক ও প্রমাণযোগ্য কারণে টিসি অনুমোদন দেয়। মামুলি বা তুচ্ছ কারণে টিসি পাওয়া যায় না। নিচে সেই সব প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো যেগুলোর ভিত্তিতে টিসি আবেদন বিবেচিত হয়।
এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং গ্রহণযোগ্য কারণ। যদি শিক্ষার্থীর পিতা, মাতা বা আইনগত অভিভাবক সরকারি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত থাকেন এবং তাদের চাকরির কারণে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বদলি হয়, তাহলে শিক্ষার্থী টিসির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র:
গুরুত্বপূর্ণ নোট: শুধুমাত্র সরকারি, আধা-সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের বদলির কারণে টিসি দেওয়া হয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে বদলির কারণ সাধারণত গ্রহণযোগ্য নয়।
অনার্স ক্লাসে ভর্তি হওয়ার পর যদি কোনো মেয়ে শিক্ষার্থীর বিয়ে হয় এবং বিয়ের পর স্বামীর জেলা, কর্মস্থল বা বসবাসের স্থানে স্থানান্তরিত হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান, তাহলে তিনি কলেজ পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র:
বিশেষ সুবিধা: মেয়ে শিক্ষার্থীরা বিয়ের কারণে একই জেলা বা বিভাগীয় শহরের মধ্যেও কলেজ পরিবর্তন করতে পারবেন, যেখানে অন্যদের ক্ষেত্রে এই সুবিধা নেই।
শিক্ষার্থীর পিতা বা মাতার মৃত্যু হলে এবং সেই কারণে নতুন অভিভাবকের কাছে অথবা অন্য জেলায় স্থানান্তরিত হতে হলে টিসির জন্য আবেদন করা যায়।
প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র:
শিক্ষার্থী যদি তার বা তার অভিভাবকের স্থায়ী ঠিকানার কাছের কোনো কলেজে পড়তে চান, তাহলে এই কারণ দেখিয়ে টিসির জন্য আবেদন করা যায়।
প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র:
যদি কোনো শিক্ষার্থী শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী হন এবং সেই কারণে বর্তমান কলেজে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়, তাহলে টিসির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র:
যদি শিক্ষার্থী যে কলেজে পড়ছেন সেই কলেজের শিক্ষাকার্যক্রম বা নির্দিষ্ট বিষয়ের অধিভুক্তি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্থগিত বা বাতিল করা হয়, তাহলে শিক্ষার্থী অন্য কলেজে ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ ট্রান্সফার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক এবং স্বচ্ছ। নিচে ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হলো যাতে আপনি সহজেই বুঝতে এবং অনুসরণ করতে পারেন।
টিসি প্রক্রিয়া শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই আপনার বর্তমান কলেজের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
করণীয়:
গুরুত্বপূর্ণ: বর্তমান কলেজের অধ্যক্ষের সুপারিশ পাওয়া জরুরি।
এটি টিসি প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আপনি যে কলেজে ট্রান্সফার নিতে চান সেই কলেজ থেকে আগে থেকেই অনাপত্তি পত্র (No Objection Certificate - NOC) সংগ্রহ করতে হবে।
NOC সংগ্রহের পদ্ধতি:
ক) সরাসরি কলেজে যোগাযোগ:
খ) NOC-তে কী থাকবে:
গুরুত্বপূর্ণ নোট:
টিসির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হলে আপনাকে প্রথমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট পোর্টালে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে (যদি আগে থেকে না থাকে)।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া:
ধাপ ১: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.nu.ac.bd বা www.nubd.info এ যান।
ধাপ ২: মূল পাতায় "Services" মেনুতে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: "Student Login" অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪: যদি আপনার আগে থেকে একাউন্ট না থাকে, তাহলে "Register" বা "Sign Up" বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৫: রেজিস্ট্রেশন ফরমে নিম্নলিখিত তথ্য পূরণ করুন:
ধাপ ৬: সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে "Submit" বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৭: রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে আপনার মোবাইলে একটি নিশ্চিতকরণ SMS আসবে।
ধাপ ৮: এরপর আপনার User ID এবং Password দিয়ে লগইন করুন।
লগইন করার পর এখন আপনি টিসির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন প্রক্রিয়া:
ধাপ ১: লগইন করার পর "Academic Services" মেনুতে যান।
ধাপ ২: "Services List" এ ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: বিভিন্ন সেবার লিস্ট থেকে "Transfer College (TC)" অপশন খুঁজে বের করুন এবং সেটিতে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪: একটি আবেদন ফরম খুলবে। সেখানে নিম্নলিখিত তথ্য পূরণ করুন:
ধাপ ৫: সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং ভালোভাবে চেক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ: এই পর্যায়ে আবেদন শুধুমাত্র প্রাথমিক (Preliminary) আবেদন হিসেবে জমা হবে।
আবেদন ফরম পূরণ করার পর আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্কান কপি হিসেবে আপলোড করতে হবে।
যেসব ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে:
ফাইল আপলোডের নির্দেশনা:
প্রাথমিক আবেদন যাচাই করার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনার মোবাইলে একটি SMS পাঠাবে। এই SMS-এ জানানো হবে আপনার আবেদন বিবেচনাযোগ্য কিনা এবং পরবর্তী ধাপ কী।
পেমেন্ট প্রক্রিয়া:
ধাপ ১: যদি SMS-এ জানানো হয় যে আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য, তাহলে আপনাকে টিসি আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
ধাপ ২: স্টুডেন্ট পোর্টালে লগইন করে Payment সেকশনে যান।
ধাপ ৩: টিসি ফি এর পরিমাণ দেখানো হবে (সাধারণত ১০০০-১৫০০ টাকার মধ্যে হতে পারে)।
ধাপ ৪: "Pay Slip" ডাউনলোড করুন।
ধাপ ৫: পেমেন্ট করার জন্য কয়েকটি অপশন থাকবে:
ক) সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে:
খ) অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে:
ধাপ ৬: পেমেন্ট সম্পন্ন হলে পোর্টালে Transaction ID বা রশিদ নম্বর আপলোড করুন।
পেমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার পর আপনাকে চূড়ান্ত আবেদনপত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে।
চূড়ান্ত সাবমিশন প্রক্রিয়া:
ধাপ ১: নির্ধারিত টিসি ফরমটি (কলেজ থেকে সংগৃহীত) সঠিকভাবে পূরণ করুন।
ধাপ ২: ফরমে কলেজের অধ্যক্ষের স্বাক্ষর ও সিল নিন।
ধাপ ৩: নিম্নলিখিত কাগজপত্র একসাথে সংযুক্ত করুন:
ধাপ ৪: সব কাগজপত্র নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসে যান অথবা পোস্টের মাধ্যমে পাঠান।
ধাপ ৫: বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন যাচাই করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে।
টিসি অনুমোদিত হওয়ার পর আপনাকে আপনার বর্তমান কলেজ থেকে পূর্ণাঙ্গ ছাড়পত্র নিতে হবে।
করণীয়:
ছাড়পত্র নেওয়ার পর আপনি এখন নতুন কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।
ভর্তি প্রক্রিয়া:
গুরুত্বপূর্ণ: মার্কশিট এবং সার্টিফিকেটে নতুন এবং পুরাতন দুই কলেজের নামই উল্লেখ থাকবে, তবে ফাইনাল সার্টিফিকেটে শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ থাকবে।
কলেজ ট্রান্সফার বা টিসি আবেদনের জন্য নিচের ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হবে। সব কাগজপত্র আগে থেকে সংগ্রহ এবং প্রস্তুত রাখলে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ এবং দ্রুত হবে।
ক) অভিভাবকের চাকরি বদলির ক্ষেত্রে:
খ) মেয়ে শিক্ষার্থীর বিয়ের ক্ষেত্রে:
গ) অভিভাবকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে:
ঘ) প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে:
ঙ) কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের ক্ষেত্রে:
চ) নাম, জন্মতারিখ বা অন্য তথ্য সংশোধিত হলে:
ছ) ধর্ম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে (যদি প্রযোজ্য হয়):
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ ট্রান্সফারের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি বা আবেদন ফি দিতে হয়। এই ফি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে থাকে এবং সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ: সঠিক এবং আপডেট ফি-এর পরিমাণ জানতে অবশ্যই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা নোটিশ দেখুন, কারণ ফি প্রতি বছর পরিবর্তন হতে পারে।
ক) বর্তমান কলেজের বকেয়া:
খ) নতুন কলেজের ভর্তি ফি:
গ) ডকুমেন্ট সত্যায়ন খরচ:
ঘ) যাতায়াত ও অন্যান্য:
মোট আনুমানিক খরচ: প্রায় ৩০০০ থেকে ৮০০০ টাকা (কলেজ এবং পরিস্থিতি ভেদে ভিন্ন হতে পারে)
এখানে কলেজ ট্রান্সফার সংক্রান্ত সবচেয়ে সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া হলো।
প্রাথমিক আবেদন থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পর্যন্ত সাধারণত ৩০-৬০ দিন সময় লাগে। তবে কিছু ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগতে পারে যদি ডকুমেন্ট যাচাই বা অন্য কোনো সমস্যা থাকে।
প্রক্রিয়ার ধাপ অনুযায়ী সময়:
টিপ: রেজাল্ট প্রকাশের পরপরই যত দ্রুত সম্ভব আবেদন করুন যাতে ৪৫ দিনের সময়সীমার মধ্যে থাকে।
যদি আপনার টিসি আবেদন বাতিল বা প্রত্যাখ্যান হয়, তাহলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিন:
ক) প্রত্যাখ্যানের কারণ জানুন:
খ) সাধারণ প্রত্যাখ্যানের কারণ:
গ) সমস্যা সমাধান:
ঘ) পুনর্বিবেচনার আবেদন:
হ্যাঁ, অবশ্যই যায়। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় কলেজ পরিবর্তন করা যায় যদি যৌক্তিক কারণ থাকে (যেমন: অভিভাবকের বদলি, বিয়ে ইত্যাদি)।
তবে মনে রাখবেন:
আংশিক:
এই নিয়মটি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয় এবং ব্যতিক্রম খুবই কম।
টিসি অনুমোদন হয়েছে কিনা তা জানার কয়েকটি উপায় আছে:
ক) SMS নোটিফিকেশন:
খ) স্টুডেন্ট পোর্টাল চেক করুন:
গ) অনুমোদন পত্র ডাউনলোড:
ঘ) বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ:
হ্যাঁ, অবশ্যই পারবেন। টিসি প্রক্রিয়া চলাকালীন আপনি আপনার বর্তমান কলেজে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারবেন। টিসি অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত আপনি বর্তমান কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবেই গণ্য হবেন।
না, একদম না। আপনার আগের সব রেজাল্ট এবং একাডেমিক রেকর্ড বহাল থাকবে। শুধুমাত্র আপনার কলেজ পরিবর্তন হবে কিন্তু রেজিস্ট্রেশন নম্বর একই থাকবে এবং সব পরীক্ষার ফলাফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ডে সংরক্ষিত থাকবে।
না, নির্দিষ্ট কোনো CGPA বা মিনিমাম গ্রেড লাগে না। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট বর্ষের পরীক্ষায় "Promoted" (প্রমোটেড) হলেই যথেষ্ট। এমনকি কোনো বিষয়ে ফেল থাকা সত্ত্বেও যদি প্রমোশন পাওয়া যায়, তাহলেও টিসির জন্য আবেদন করা যায়।
আংশিকভাবে অনলাইন। প্রাথমিক আবেদন এবং পেমেন্ট সম্পূর্ণ অনলাইনে হয় কিন্তু চূড়ান্ত আবেদনের কাগজপত্র সরাসরি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হয় অথবা পোস্টের মাধ্যমে পাঠাতে হয়। এছাড়া নতুন কলেজ থেকে NOC এবং বর্তমান কলেজ থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার জন্য সরাসরি যোগাযোগ করতে হয়।
সাধারণত না। একবার টিসি নিয়ে নতুন কলেজে চলে গেলে পুনরায় আগের কলেজে ফেরার সুযোগ নেই। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে হতে পারে, তবে সেটি অত্যন্ত কঠিন এবং অস্বাভাবিক।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজ ট্রান্সফার বা টিসি (TC) নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সিরিয়াস প্রক্রিয়া যা সঠিক নিয়ম মেনে এবং যৌক্তিক কারণ সহকারে করতে হয়। এই বিস্তারিত গাইডে আমরা টিসি সংক্রান্ত সব কিছু আলোচনা করেছি— কী, কেন, কীভাবে, কারা, এবং কখন।
১. পরিকল্পনা করুন আগে থেকেই:
২. যৌক্তিক কারণ নিশ্চিত করুন:
৩. NOC সংগ্রহ অগ্রাধিকার দিন:
৪. ডকুমেন্ট সঠিকভাবে প্রস্তুত করুন:
৫. সময়সীমা মেনে চলুন:
৬. নিয়মিত ফলোআপ করুন:
৭. বকেয়া টাকা পরিশোধ করুন:
৮. ধৈর্য ধরুন:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.nu.ac.bd এবং www.nubd.info
এ নিয়মিত ভিজিট করুন সর্বশেষ নোটিশ এবং আপডেটের জন্য। যেকোনো সমস্যার জন্য সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করুন বা আপনার কলেজের অধ্যক্ষের পরামর্শ নিন।
আপনার একাডেমিক জীবনের সফলতা কামনা করছি। এই গাইড অনুসরণ করে আপনি সহজেই এবং সঠিকভাবে কলেজ ট্রান্সফার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। শুভকামনা রইল!
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশোনা করা লাখো শিক্ষার্থীর জন্য রেজাল্ট প্রকাশের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উৎকণ্ঠার। অনার্স ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট কীভাবে দেখবেন, কোথায় দেখবেন, এবং রেজাল্ট সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সমাধান কী— এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আজকের এই বিস্তারিত গাইডে আমরা আলোচনা করব। এই পোস্টটি পড়লে আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স রেজাল্ট চেক করার সমস্ত পদ্ধতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবেন এবং যেকোনো জটিলতা সহজেই সমাধান করতে পারবেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (NU) বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অ্যাফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে দেশজুড়ে ২২৫৭টির বেশি কলেজ রয়েছে এবং প্রতি বছর লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। রেজাল্ট প্রকাশের পর সঠিক নিয়মে রেজাল্ট দেখা, মার্কশিট ডাউনলোড করা এবং প্রয়োজনে CGPA যাচাই করা একজন শিক্ষার্থীর একাডেমিক জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই আর্টিকেলে আমরা ১ম বর্ষ থেকে ৪র্থ বর্ষ পর্যন্ত প্রতিটি বর্ষের রেজাল্ট দেখার বিস্তারিত নিয়ম, SMS পদ্ধতি, সম্পূর্ণ CGPA রেজাল্ট দেখার উপায়, এবং রেজাল্ট সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সমাধান নিয়ে ধাপে ধাপে আলোচনা করব।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স কোর্সটি চার বছরের একটি স্নাতক প্রোগ্রাম। প্রতি বছরের রেজাল্ট আলাদাভাবে প্রকাশিত হয় এবং শিক্ষার্থীরা তাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে পরবর্তী বর্ষে উন্নীত হন। রেজাল্ট দেখার জন্য মূলত দুটি প্রধান পদ্ধতি রয়েছে— অনলাইন পদ্ধতি এবং SMS পদ্ধতি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০-১২০ দিনের মধ্যে রেজাল্ট প্রকাশ করে। ২০২৫ সালে অনার্স ৩য় বর্ষের রেজাল্ট ১১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ৯৩.১৮% উত্তীর্ণের হার রেকর্ড করা হয়েছে। ডিগ্রি ২য় বর্ষের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে ৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে, যেখানে ৯৪.৬২% গড় উত্তীর্ণের হার দেখা গেছে।
রেজাল্ট চেক করার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে থাকা প্রয়োজন: রেজিস্ট্রেশন নম্বর, রোল নম্বর (কিছু ক্ষেত্রে), এবং পরীক্ষার সাল। এই তথ্যগুলো শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাডমিট কার্ড বা রেজিস্ট্রেশন কার্ডে পাবেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট nubd.info/results এবং results.nu.ac.bd থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের অনার্স রেজাল্ট দেখতে পারবেন। ২০২৫ সাল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট দুটি গ্রুপে ভাগ করে প্রকাশ করছে যাতে সার্ভার ডাউন না হয়— B.Sc, BBA, B.Music গ্রুপের শিক্ষার্থীরা এক লিংকে এবং BA, BSS গ্রুপের শিক্ষার্থীরা অন্য লিংকে তাদের রেজাল্ট দেখতে পারবেন।
অনার্স ১ম বর্ষের রেজাল্ট দেখতে নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন:
ধাপ ১: আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের ব্রাউজার ওপেন করুন এবং nubd.info/results বা results.nu.ac.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
ধাপ ২: ওয়েবসাইটের মূল পাতায় আপনি বিভিন্ন পরীক্ষার অপশন দেখতে পাবেন। "Honours" অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: এরপর "First Year" বা "১ম বর্ষ" সিলেক্ট করুন।
ধাপ ৪: এখন একটি ফর্ম আসবে যেখানে আপনাকে কয়েকটি তথ্য পূরণ করতে হবে:
ধাপ ৫: সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর "Search Result" বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৬: কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি পপ-আপ উইন্ডোতে আপনার রেজাল্ট দেখা যাবে। যদি পপ-আপ উইন্ডো না খুলে, তাহলে আপনার ব্রাউজারের পপ-আপ সেটিংস চেক করুন এবং এই সাইটের জন্য পপ-আপ অনুমতি দিন।
২০২৪ সালের অনার্স ১ম বর্ষের রেজাল্ট ৩ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৪,৭৪,২৪৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।
অনার্স ২য় বর্ষের রেজাল্ট দেখার প্রক্রিয়া প্রায় একই, তবে কিছু ক্ষেত্রে কলেজ কোডও প্রয়োজন হতে পারে। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
ধাপ ১: nubd.info/results ওয়েবসাইটে যান।
ধাপ ২: "Honours" এবং তারপর "Second Year" বা "২য় বর্ষ" সিলেক্ট করুন।
ধাপ ৩: ফর্মে নিম্নলিখিত তথ্য পূরণ করুন:
ধাপ ৪: "Search Result" বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৫: আপনার ২য় বর্ষের রেজাল্ট স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে।
২০২৫ সালে অনার্স ২য় বর্ষের রেজাল্ট ১৬ মে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ৪,৩৩,৮১৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯৪.৪০% উত্তীর্ণ হয়েছে।
অনার্স ৩য় বর্ষের রেজাল্ট দেখার পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো:
ধাপ ১: results.nu.ac.bd বা nubd.info/results ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
ধাপ ২: "Honours" অপশন থেকে "Third Year" বা "৩য় বর্ষ" সিলেক্ট করুন।
ধাপ ৩: আপনার রোল নম্বর অথবা রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখুন।
ধাপ ৪: পরীক্ষার বছর সিলেক্ট করুন (যেমন: ২০২৩)।
ধাপ ৫: ক্যাপচা কোড পূরণ করে "Search Result" বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৬: আপনার মার্কশিটসহ রেজাল্ট প্রদর্শিত হবে।
২০২৫ সালে অনার্স ৩য় বর্ষের রেজাল্ট ১১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ৩,৪৩,১৪৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং ৯৩.১৮% উত্তীর্ণ হয়েছে।
অনার্স ৪র্থ বর্ষ বা ফাইনাল ইয়ারের রেজাল্ট দেখার পদ্ধতি:
ধাপ ১: www.nu.ac.bd/results ওয়েবসাইটে যান।
ধাপ ২: "Honours" মেনু থেকে "Fourth Year" বা "৪র্থ বর্ষ" সিলেক্ট করুন।
ধাপ ৩: আপনার রোল নম্বর এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখুন।
ধাপ ৪: পরীক্ষার বছর সঠিকভাবে নির্বাচন করুন।
ধাপ ৫: ক্যাপচা কোড পূরণ করুন এবং "Search Result" এ ক্লিক করুন।
ধাপ ৬: আপনার ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট দেখতে পারবেন।
২০২৪ সালে অনার্স ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট নভেম্বরে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ২,৫৫,৬৪৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
যাদের কাছে ইন্টারনেট সংযোগ নেই বা যারা দ্রুত রেজাল্ট জানতে চান, তারা SMS এর মাধ্যমেও অনার্স রেজাল্ট চেক করতে পারবেন। এই পদ্ধতিটি অত্যন্ত সহজ এবং নির্ভরযোগ্য। SMS পাঠানোর খরচ প্রায় ২.৫০ টাকা।
১ম বর্ষের জন্য:
২য় বর্ষের জন্য:
৩য় বর্ষের জন্য:
৪র্থ বর্ষের জন্য:
গুরুত্বপূর্ণ নোট:
অনার্স কোর্স সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীরা তাদের সম্পূর্ণ চার বছরের সমন্বিত রেজাল্ট বা Consolidated Result দেখতে পারবেন। এই রেজাল্টে চার বছরের সব বিষয়ের গ্রেড এবং সামগ্রিক CGPA (Cumulative Grade Point Average) দেখা যায়। এটি মূলত একটি মার্কশিট বা ট্রান্সক্রিপ্ট আকারে প্রদান করা হয়।
পদ্ধতি ১: results.nu.ac.bd থেকে দেখার নিয়ম
ধাপ ১: www.nu.ac.bd/results ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
ধাপ ২: মেনু থেকে "Honours" সিলেক্ট করুন।
ধাপ ৩: এরপর "Consolidated" অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪: আপনার রোল নম্বর এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখুন।
ধাপ ৫: দেওয়া ক্যাপচা কোড সঠিকভাবে পূরণ করুন।
ধাপ ৬: "Search Result" বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৭: আপনার চার বছরের সম্পূর্ণ CGPA রেজাল্ট মার্কশিট আকারে প্রদর্শিত হবে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
পদ্ধতি ২: nubd.info/student পোর্টাল থেকে দেখার নিয়ম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ems.nu.ac.bd বা nubd.info/student পোর্টালে লগইন করে তাদের সম্পূর্ণ একাডেমিক রেকর্ড দেখতে পারবেন।
ধাপ ১: nubd.info/student বা ems.nu.ac.bd ওয়েবসাইটে যান।
ধাপ ২: যদি আপনার আগে থেকে একাউন্ট না থাকে, তাহলে Registration/Sign Up অপশনে ক্লিক করে নতুন একাউন্ট তৈরি করুন।
ধাপ ৩: একাউন্ট তৈরির সময় আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বর, মোবাইল নম্বর, এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান করুন।
ধাপ ৪: একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
ধাপ ৫: লগইন করার পর আপনার ড্যাশবোর্ডে যান।
ধাপ ৬: "My Result" বা "CGPA Result" অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৭: আপনার চার বছরের সব রেজাল্ট এবং CGPA এখানে দেখতে পাবেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় 4.0 স্কেলে CGPA গণনা করে। প্রতিটি বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে লেটার গ্রেড এবং গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়।

এই গ্রেডিং সিস্টেম অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়ের ক্রেডিট আওয়ার এবং গ্রেড পয়েন্ট দিয়ে CGPA হিসাব করা হয়। যেমন, কোনো শিক্ষার্থী যদি ৩ ক্রেডিটের একটি বিষয়ে A গ্রেড (৩.৭৫) পায়, তাহলে সেই বিষয়ের গ্রেড পয়েন্ট হবে ৩ × ৩.৭৫ = ১১.২৫।
শিক্ষার্থীরা চাইলে NU CGPA Calculator অ্যাপ ব্যবহার করে তাদের CGPA হিসাব করতে পারেন। এই অ্যাপে প্রতিটি বিষয়ের গ্রেড এবং ক্রেডিট লিখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে CGPA বের হয়ে আসে।
রেজাল্ট প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। নিচে সবচেয়ে সাধারণ সমস্যাগুলো এবং তাদের সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রমোশন নীতিমালা অনুযায়ী, একজন শিক্ষার্থীকে পরবর্তী বর্ষে উন্নীত হতে হলে নির্দিষ্ট সংখ্যক বিষয়ে পাস করতে হয়।
"Withheld" অর্থ হলো আপনার রেজাল্ট সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে:
Withheld হওয়ার সাধারণ কারণ:
যদি আপনি মনে করেন যে আপনার রেজাল্ট সঠিক নয় বা প্রত্যাশা অনুযায়ী নম্বর আসেনি, তাহলে আপনি বোর্ড চ্যালেঞ্জ বা পুনঃনিরীক্ষণ (Re-scrutiny) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বোর্ড চ্যালেঞ্জ কী?
কখন আবেদন করবেন?
আবেদন করার ধাপ:
ধাপ ১: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ওয়েবসাইট www.nu.ac.bd এ যান।
ধাপ ২: উপরের মেনু থেকে "Service" বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: "উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ" বা "Answer Sheet Re-scrutiny" অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪: পরীক্ষার নাম এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সার্চ করুন।
ধাপ ৫: আপনার নাম, মোবাইল নম্বর এবং যে বিষয়ে পুনঃনিরীক্ষণ চান সেটা সিলেক্ট করুন।
ধাপ ৬: Payment Amount চেক করুন।
ধাপ ৭: Pay Slip ডাউনলোড করুন।
ধাপ ৮: নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় বা সোনালী সেবা কেন্দ্রে গিয়ে Pay Slip জমা দিয়ে ফি পরিশোধ করুন। অথবা নগদ, বিকাশ, রকেট বা কার্ডের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট করুন।
ধাপ ৯: রশিদ সংরক্ষণ করুন।
বোর্ড চ্যালেঞ্জ আবেদন ফি:
পুনঃনিরীক্ষণ রেজাল্ট কবে প্রকাশ হবে?
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
কখনো কখনো রেজাল্ট চেক করার সময় "Invalid Registration Number" বা "Wrong Registration Number" মেসেজ আসতে পারে। এর কয়েকটি কারণ ও সমাধান রয়েছে।
সমস্যার কারণ:
সমাধান:
১. রেজিস্ট্রেশন নম্বর পুনরায় চেক করুন:
২. পরীক্ষার সাল সঠিক দিন:
৩. কিছুক্ষণ পর আবার চেষ্টা করুন:
৪. বিকল্প ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন:
৫. কলেজে যোগাযোগ করুন:
৬. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অফিসে আবেদন করুন:
৭. CGPA রেজাল্ট দেখার ক্ষেত্রে:
যদি আপনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন কিন্তু রেজাল্টে "Absent" দেখায়, তাহলে:
করণীয়:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স রেজাল্ট দেখা এবং যাচাই করা একজন শিক্ষার্থীর একাডেমিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই বিস্তারিত গাইডে আমরা ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট দেখার সম্পূর্ণ পদ্ধতি, SMS এর মাধ্যমে রেজাল্ট চেক করার নিয়ম, সম্পূর্ণ CGPA বা কনসোলিডেটেড রেজাল্ট দেখার উপায়, এবং রেজাল্ট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
মনে রাখবেন, রেজাল্ট দেখার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট হলো results.nu.ac.bd, nubd.info/results, এবং www.nu.ac.bd/results
রেজাল্ট প্রকাশের পরপর সার্ভারে চাপ বেশি থাকায় ধৈর্য ধরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এবং বারবার চেষ্টা করুন। যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে আপনার কলেজ অফিসে যোগাযোগ করুন অথবা সরাসরি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসে যোগাযোগ করতে পারেন।
আপনার একাডেমিক সাফল্যের জন্য শুভকামনা রইল। এই গাইডটি নিয়মিত আপডেট করা হবে যাতে সর্বশেষ তথ্য পাওয়া যায়। রেজাল্ট প্রকাশের সর্বশেষ নোটিশের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.nu.ac.bd এবং ফেসবুক পেজ নিয়মিত চেক করুন।