জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে। এই ফলাফল একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন সাপেক্ষে বৈধ এবং চূড়ান্ত।

মন্তব্য: এই বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণ দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপকতা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রদর্শন করে। ৬৮.৬৭% পাশের হার শিক্ষার্থীদের মধ্যম থেকে ভালো মানের পারফরম্যান্স নির্দেশ করে।
ফলাফল নিম্নলিখিত অফিসিয়াল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ থাকবে:
গুরুত্বপূর্ণ নোট: শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ের পর ওয়েবসাইটে অ্যাক্সেস করে তাদের ব্যক্তিগত ফলাফল দেখতে পারবেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওভারলোডিং এড়াতে ফলাফল রাত দেরিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় চার বছরের সমন্বিত ফলাফল (CGPA - Cumulative Grade Point Average) অতিসত্ত্বর প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এই সমন্বিত ফলাফল শিক্ষার্থীদের সমগ্র স্নাতক শিক্ষার সময়কাল জুড়ে তাদের একাডেমিক পারফরম্যান্সের একটি সামগ্রিক চিত্র প্রদান করবে।
CGPA এর গুরুত্ব:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিম্নলিখিত ক্ষমতা সংরক্ষণ করছে:
শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ: যদি ফলাফলে কোনো বিষয়ে সন্দেহ থাকে, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করতে পারেন।
এই বিজ্ঞপ্তিটি ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ক্রমে প্রকাশিত হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ একাডেমিক নেতৃত্বের অনুমতির নিশ্চয়তা দেয়।
নাম: মোঃ জামুল করিম তাপ হলেন
পদবী: পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক
প্রতিষ্ঠান: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
যদি শিক্ষার্থী, অভিভাবক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরীক্ষা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন বা উদ্বেগ রাখেন, তারা নিম্নোক্ত মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন:

সুবিধাজনক সময়: কর্মদিবসের সাধারণ অফিস আওয়ারে (সাধারণত সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা) যোগাযোগ করা যেতে পারে।
এই বিজ্ঞপ্তিটি বাংলাদেশের ২.৫৬ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থীর একাডেমিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। ৪র্থ বর্ষের ফলাফল স্নাতক ডিগ্রি প্রদানের চূড়ান্ত পর্যায়, এবং এটি শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনের প্রবেশদ্বার।
এই বিজ্ঞপ্তি এবং ফলাফলের স্ক্রিনশট বা প্রিন্ট কপি নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করুন, কারণ ভবিষ্যতে ডিগ্রি ভেরিফিকেশন বা আবেদনের সময় এটি প্রয়োজন হতে পারে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন। ২.৫৬ লক্ষ শিক্ষার্থীর প্রচেষ্টা এবং নিবেদন এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্বীকৃতি পায়। শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এখন এই ফলাফলের উপর ভিত্তি করে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (NU) সম্প্রতি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যারা মাস্টার্স (প্রফেশনাল) প্রোগ্রামে পড়াশোনা করছেন, তাদের জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্ড ইস্যু করা শুরু হবে ২০২৫ সালের নভেম্বর থেকে। এই রেজিস্ট্রেশন কার্ড শুধুমাত্র একটি কাগজ নয় - এটি আপনার শিক্ষাগত পরিচয়, পরীক্ষার আসন সংরক্ষণ, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য অপরিহার্য। তাই এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত জানাব - এই কার্ড সম্পর্কে কী কী জানতে হবে, কবে সংগ্রহ করতে হবে, এবং এখানে কোনো ভুল থাকলে কী করতে হবে।
NU মাস্টার্স (প্রফেশনাল) রেজিস্ট্রেশন কার্ড ডাউনলোড ২০২৫
নোটিশ অনুযায়ী, নিম্নলিখিত কোর্সগুলোর ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ইস্যু করা হবে:
গুরুত্বপূর্ণ: এটি শুধুমাত্র প্রফেশনাল প্রোগ্রামের জন্য। নিয়মিত মাস্টার্স প্রোগ্রামের ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো প্রযোজ্য নয়।
০১: রেজিস্ট্রেশন কার্ড ইস্যু শুরু: ০৬ নভেম্বর ২০২৫
০২: কলেজ কর্তৃপক্ষ কার্ড ডাউনলোড করতে পারবে: ০৬ নভেম্বর ২০২৫ থেকে ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত
০৩: ছাত্রছাত্রীদের কলেজ থেকে কার্ড সংগ্রহের সর্বশেষ সুযোগ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ (এই দিনের পর আর পাওয়া যাবে না)
এখানেই এই বিজ্ঞপ্তির প্রকৃত মূল্য। শিক্ষার্থীদের জন্য সাধারণত কোনো বিশেষ করণীয় নেই—কলেজ কর্তৃপক্ষই সব কাজ করে। তবে কিছু বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের সচেতন থাকতে হবে:
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: ০৬ নভেম্বর থেকে ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নিজের নিজ কলেজের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রশাসক বা কম্পিউটার অপারেটরের সাথে যোগাযোগ করুন এবং নিজের রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করেছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করুন।
কেন? কারণ কলেজ কর্তৃপক্ষই অনলাইন থেকে কার্ড ডাউনলোড করবে এবং প্রিন্ট করবে। ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি ডাউনলোড করতে পারবে না।
কলেজ থেকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করার পর, অবশ্যই প্রতিটি তথ্য ভালোভাবে দেখে নিন:
✓ আপনার নাম – ঠিক আছে কিনা? বানান সঠিক কিনা?
✓ পিতা-মাতার নাম – নাম ও উপাধি সঠিক আছে কিনা?
✓ ছবি – সঠিক ছবি আছে কিনা? ছবিটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কিনা?
✓ অন্যান্য তথ্য – প্রোগ্রামের নাম, কলেজের নাম, রোল নম্বর সঠিক আছে কিনা?
সতর্কতা: এই পর্যায়ে ভুল ধরা পড়লে পরে সংশোধন করা যাবে। তাই এখনই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখুন।
সকল তথ্য ঠিক পেলে, কার্ডের নির্দিষ্ট স্থানে আপনাকে স্বাক্ষর করতে হবে। একই সাথে কলেজ অধ্যক্ষও কার্ডে স্বাক্ষর ও সিল প্রদান করবেন। এই স্বাক্ষর এবং সিল না পেলে কার্ডটি কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
যদি রেজিস্ট্রেশন কার্ডে আপনার নাম বা পিতা-মাতার নামে কোনো ভুল থাকে, তবে নিরাশ হবেন না—সংশোধন করার ব্যবস্থা আছে।
কি করতে হবে:
সময়সীমা: কার্ড ইস্যুর পর এক (১) মাসের মধ্যে অনলাইনে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। (অর্থাৎ, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫থেকে ০৬ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত)।
কোথায় আবেদন করবেন:
এই সেকশনে যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি অবহেলা মানে ভবিষ্যতে বড় সমস্যা।
যদি আপনি ইতোমধ্যে অন্য কোথাও ভর্তি থাকেন, তাহলে সমস্যা!
নিচের যেকোনো একটি প্রোগ্রামে যদি আপনি ইতোমধ্যে পড়াশোনা করছেন, তাহলে ২०२५ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স (প্রফেশনাল) প্রোগ্রামে আপনার রেজিস্ট্রেশন কার্ড ইস্যু করা হবে না:
অর্থাৎ, একই সময়ে দুটি মাস্টার্স প্রোগ্রামে পড়া যাবে না। এটি নিয়ম।
এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা। যদি ভর্তির সময় আপনি নিজের ছবির বদলে অন্য কারোর ছবি ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে:
অর্থাৎ, এটি একটি শেষ সিদ্ধান্ত। তাই ভর্তির সময় যদি আপনি সঠিক ছবি দিয়ে থাকেন, তবে চিন্তা করবেন না। কিন্তু যদি ভুল ছবি দিয়ে থাকেন, এখনই আপনার কলেজ অধ্যক্ষের কাছে জানান।
যদি ২০২৫ বা তার আগের শিক্ষাবর্ষে আপনার কোনো ভর্তি ফি বাকি থাকে, তাহলে কোনো রেজিস্ট্রেশন কার্ড ইস্যু করা হবে না। সুতরাং, কলেজ থেকে যাচাই করে নিন যে আপনার সকল ফি পরিশোধ করা হয়েছে কিনা।
কলেজ কর্তৃপক্ষের জন্য (রেজিস্ট্রেশন কার্ড ডাউনলোডের নিয়ম)
কলেজ প্রশাসকদের জন্য কার্ড ডাউনলোডের প্রক্রিয়া একটু জটিল, তাই এটিও সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করছি:
লিংক: www.nu.ac.bd/admissions/regicard
কলেজ কর্তৃপক্ষকে এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং College Login অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে User ID ও Password দিয়ে লগইন করতে হবে। তারপর প্রতিটি শিক্ষার্থীর কার্ড ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা যাবে।
প্রিন্ট করা কার্ডে প্রদর্শিত সকল তথ্য ও ছবি ভালোভাবে যাচাই করতে হবে যে সেগুলো শিক্ষার্থীর সাথে মেলে কিনা।
সকল তথ্য ঠিক পেলে, কলেজ অধ্যক্ষ কার্ডে স্বাক্ষর ও সিল প্রদান করবেন। শিক্ষার্থীও কার্ডে স্বাক্ষর করবে।
স্বাক্ষর ও সিল হওয়ার পর, কলেজ প্রশাসক কার্ডগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেবে।
গুরুত্বপূর্ণ নোট: কলেজ কর্তৃপক্ষকে ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের আগেই সকল কার্ড শিক্ষার্থীদের দিতে হবে।
যদি কলেজ কর্তৃপক্ষ পাসওয়ার্ড না পেয়ে থাকেন, তবে এখানে লিখিত আবেদন করতে হবে:
পাসওয়ার্ড আবেদনের ঠিকানা:
আবেদনে নিচের তথ্য দিতে হবে:
নোট: ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স (প্রফেশনাল) কোর্সের জন্য যে User ID ও Password দেওয়া হয়েছিল, সেটি এখনও কার্যকর থাকবে।
যদি ২০২৫ বা তার আগের শিক্ষাবর্ষে কোনো শিক্ষার্থীর ভর্তি ফি পরিশোধ না করা থাকে, তাহলে সেই শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড ইস্যু করা হবে না। তাই, কার্ড দেওয়ার আগে প্রশাসকদের যাচাই করতে হবে।
অফিসিয়াল লিংক: www.nu.ac.bd/admissions/regicard
রেজিস্ট্রেশন কার্ড একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আনুষ্ঠানিক ডকুমেন্ট। এটি ছাড়া পরীক্ষায় বসা, সার্টিফিকেট পাওয়া এবং যেকোনো সরকারি কাজ করা অসম্ভব হয়ে যায়।
আমাদের পরামর্শ:
✓ ছাত্রছাত্রীর: আজই আপনার কলেজের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে যান এবং জিজ্ঞাসা করুন রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রস্তুত হয়েছে কিনা। সংগ্রহ করার সময় সকল তথ্য এবং ছবি সাবধানে দেখে নিন। ভুল পেলে অবিলম্বে কলেজ অধ্যক্ষকে জানান।
✓ কলেজ কর্তৃপক্ষ: ০৬ নভেম্বর থেকে কার্ড ডাউনলোড করা শুরু করুন এবং ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের আগেই সকল শিক্ষার্থীকে দিয়ে দিন। কোনো শিক্ষার্থী যদি মিস হয়, তাহলে আর সুযোগ পাবে না।
যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা সমস্যা হয়, তাহলে nunoticeboard.com-এ কমেন্ট করুন অথবা কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা সবসময় সাহায্য করতে প্রস্তুত।
আপনার সফলতা কামনা করছি!
উত্তর: না। শুধুমাত্র কলেজ কর্তৃপক্ষ (প্রিন্সিপাল/অধ্যক্ষ অফিস) ডাউনলোড করতে পারবে। আপনি অবশ্যই কলেজে যোগাযোগ করবেন এবং তাদের বলবেন যে আপনার কার্ড দরকার।
উত্তর: ডিসেম্বরের ০६ তারিখের আগে আপনার কলেজে গিয়ে কার্ড চেয়ে নিন। তথ্য যাচাই করুন এবং স্বাক্ষর করুন।
উত্তর: দুর্ভাগ্যবশত না। নোটিশে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে ছবি সংশোধনের কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। তবে যদি নাম বা পিতা-মাতার নামে ভুল থাকে, তাহলে ১ মাসের মধ্যে সংশোধন করতে পারবেন।
উত্তর: প্রথম বার কার্ড ডাউনলোডের সময়সীমা হলো ডিসেম্বরের ০৬ তারিখ পর্যন্ত। এর পরে কি হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তাই দেরি না করে সময়মতো সংগ্রহ করে নিন।
আপনি কি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট খুঁজছেন? আমরা জানি এটা একটি সাধারণ প্রশ্ন, কিন্তু উত্তরটি সহজ নয়। কারণ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নয়, বিভিন্ন কাজের জন্য একাধিক ওয়েবসাইট রয়েছে। রেজাল্ট দেখার সাইট, ফরম ফিলাপের সাইট, স্টুডেন্ট পোর্টাল, ভর্তির সাইট, সেবা পোর্টাল—প্রতিটির আলাদা লিংক। এই বৈচিত্র্যের কারণে প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থী বিভ্রান্ত হয়ে যায়, ভুল সাইটে যায়, এবং সঠিক তথ্য খুঁজে পায় না।
এই আর্টিকেলটি সেই সমস্যার সমাধান করার জন্য তৈরি। এখানে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট এবং পোর্টালের সঠিক লিংক এবং প্রতিটির ব্যবহার নিয়ে পূর্ণাঙ্গ গাইড দিচ্ছি। এটি একটি "Quick Reference Guide" যা আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী সঠিক সাইটে নিয়ে যাবে।
নিচের টেবিলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রধান ওয়েবসাইট এবং পোর্টালের সঠিক লিংক এবং ব্যবহার দেওয়া আছে। আপনার কাজ অনুযায়ী সঠিক লিংকটিতে ক্লিক করুন।
এটি কী?
www.nu.ac.bd হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। এটি সবকিছুর হাব। যেকোনো সাধারণ বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য প্রথমেই এই সাইটে আসতে হয়।
এখানে কী কী পাওয়া যায়?
শিক্ষার্থীদের জন্য এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
আপনার কলেজে কোনো নোটিশ বোঝা না হলে বা মিস করে ফেলেছেন, তাহলে সরাসরি nu.ac.bd-তে গিয়ে সবচেয়ে সর্বশেষ নোটিশ দেখতে পারবেন। কোনো অফিসিয়াল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এই সাইটেই প্রথম আপডেট আসে।
টিপস: এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত চোখ রাখুন। সকাল ৯-১০টায় নতুন নোটিশ প্রকাশ করা হয়। একটি বুকমার্ক রাখুন বা Google News Alert সেট করুন যাতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট মিস না হয়।
এটি কী?
www.nubd.info/results হলো NU-এর সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ রেজাল্ট পোর্টাল। হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই সাইটে তাদের ফলাফল দেখে।
এই সাইট থেকে কী কী রেজাল্ট দেখা যায়?
এই সাইট থেকে রেজাল্ট দেখার ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া:
ধাপ ১: www.nubd.info/results ওয়েবসাইটে যান
ধাপ ২: আপনার প্রোগ্রাম নির্বাচন করুন। উদাহরণ: আপনি যদি অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র হন, তাহলে "Honours" মেনুতে ক্লিক করুন
ধাপ ৩: বছর নির্বাচন করুন। "Third Year" নির্বাচন করুন
ধাপ ৪: আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বর বা রোল নম্বর দিন
ধাপ ৫: সার্চ (Search) বাটনে ক্লিক করুন
ধাপ ৬: কয়েক সেকেন্ডে আপনার ফলাফল দেখা যাবে—প্রতিটি বিষয়ের মার্ক, গ্রেড ও GPA সহ
এই সাইটের সুবিধা:
এই সাইটের অসুবিধা:
পূর্ণাঙ্গ CGPA/Consolidated দেখতে কী করবেন?
এই সাইটে যান এবং আপনার প্রোগ্রাম থেকে "Consolidated" অপশন নির্বাচন করুন। উদাহরণ: "Honours" প্রোগ্রাম থেকে "Consolidated" বেছে নিন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিন। আপনার ৪ বছরের সমন্বিত GPA এবং ফাইনাল গ্রেড পয়েন্ট পাবেন।
এটি কী এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ems.nu.ac.bd/student-login হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল স্টুডেন্ট পোর্টাল। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী টুল। এখানে আপনার সব শিক্ষাগত তথ্য এবং সেবা একসাথে পাওয়া যায়।
এই পোর্টালে কী কী করা যায়?
ক) ফরম পূরণ (Form Fill-up):
খ) অ্যাডমিট কার্ড/প্রবেশপত্র দেখা এবং ডাউনলোড:
গ) রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং সনদপত্র:
ঘ) পূর্ণাঙ্গ CGPA/Consolidated Result দেখা:
ঙ) বিভিন্ন সার্টিফিকেট এবং তথ্যপত্র:
ধাপ ১: ems.nu.ac.bd/student-login ওয়েবসাইটে যান
ধাপ ২: আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বর বা রোল নম্বর দিন
ধাপ ৩: একটি পাসওয়ার্ড সেট করুন বা আপনার পূর্ববর্তী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
ধাপ ৪: প্রথমবার লগইন করলে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য (নাম, লিঙ্গ, জন্মতারিখ) সঠিকভাবে যাচাই করুন
ধাপ ৫: একটি সাম্প্রতিক ছবি আপলোড করুন (Passport size)
ধাপ ৬: লগইন করুন এবং আপনার ড্যাশবোর্ড দেখুন
পোর্টালে লগইন করতে সমস্যা হলে:
এটি কী?
results.nu.ac.bd হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল নতুন রেজাল্ট পোর্টাল। এটি প্রফেশনাল কোর্স, নতুন প্রোগ্রাম এবং আপডেট করা ফলাফলের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই সাইট থেকে কী কী রেজাল্ট দেখা যায়?
এই সাইটে কীভাবে রেজাল্ট দেখবেন?
ধাপ ১: results.nu.ac.bd ওয়েবসাইটে যান
ধাপ ২: বাম পাশে মেনু থেকে আপনার প্রোগ্রাম বেছে নিন (যেমন: Degree, Honours, Professional, Masters ইত্যাদি)
ধাপ ৩: বছর নির্বাচন করুন (First Year, Second Year, Third Year, Consolidated ইত্যাদি)
ধাপ ৪: আপনার রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিন
ধাপ ৫: সার্চ করুন এবং আপনার ফলাফল পাবেন—মার্কশিট সহ
এটি কী এবং কাদের জন্য?
www.nu.ac.bd/admissions বা admission.nu.edu.bd হলো নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্য এবং আবেদনের কেন্দ্রবিন্দু। যারা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান, তাদের জন্য এটি প্রথম গন্তব্য।
এই পোর্টালে কী কী পাওয়া যায়?
ক) অনার্স (Honours) ভর্তি:
খ) ডিগ্রী (Pass) কোর্স ভর্তি:
গ) মাস্টার্স ভর্তি:
ঘ) প্রফেশনাল কোর্স ভর্তি:
ধাপ ১: admission.nu.edu.bd ওয়েবসাইটে যান
ধাপ ২: যে প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চান তার জন্য "Apply" বাটনে ক্লিক করুন
ধাপ ৩: ভর্তির আবেদনপত্র পূরণ করুন—নাম, SSC রোল, HSC রোল, পছন্দের বিষয় ইত্যাদি
ধাপ ৪: আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং মোবাইল নম্বর সঠিকভাবে দিন
ধাপ ৫: আবেদন ফি জমা দিন (যদি প্রযোজ্য হয়)
ধাপ ৬: "Submit" করুন এবং সাফল্যের বার্তা পান
ভর্তির মেধাতালিকা এবং ফলাফল দেখুন:
এটি কী?
services.nu.ac.bd হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবা সংক্রান্ত অফিসিয়াল পোর্টাল। এখানে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক সেবা এবং সার্টিফিকেট উত্তোলন করা যায়।
এই পোর্টাল থেকে কী কী সেবা পাওয়া যায়?
ক) সার্টিফিকেট উত্তোলন:
খ) কলেজ ট্রান্সফার (TC) আবেদন:
গ) মাইগ্রেশন এবং ছাড়পত্র:
সেবা পোর্টাল ব্যবহারের সংক্ষিপ্ত নিয়ম:
ধাপ ১: services.nu.ac.bd ওয়েবসাইটে যান এবং লগইন করুন
ধাপ ২: আপনার প্রয়োজনীয় সেবা নির্বাচন করুন (যেমন: Certificate, TC Application, Migration)
ধাপ ৩: আবেদনপত্র পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন
ধাপ ৪: ফি জমা দিন (যদি প্রযোজ্য)
ধাপ ৫: আবেদন সাবমিট করুন এবং reference number সংরক্ষণ করুন
এটি কী এবং কার জন্য?
collegeportal.nu.ac.bd হলো কলেজের প্রশাসনিক কর্মীদের জন্য একটি পোর্টাল। এখানে কলেজের প্রিন্সিপাল, অধ্যক্ষ, কম্পিউটার অপারেটররা লগইন করে শিক্ষার্থী ডাটা এন্ট্রি, ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ করে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই পোর্টালে লগইন করার প্রয়োজন নেই। এটি শুধুমাত্র কলেজ প্রশাসনের জন্য।
এটি কী?
এই দুটি লিংক থেকে আপনার পরীক্ষার প্রবেশপত্র (Admit Card) ডাউনলোড করা যায়। প্রবেশপত্র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট—এটি ছাড়া পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।
প্রবেশপত্রে কী কী তথ্য থাকে?
প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার নিয়ম:
ধাপ ১: www.nu.ac.bd/admit বা nubd.info/admit লিংকে যান
ধাপ ২: আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং পরীক্ষার নাম নির্বাচন করুন
ধাপ ৩: "Download" করুন এবং প্রিন্ট করুন (উভয় পাশে প্রিন্ট করা বেটার)
গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
যদি কোনো ওয়েবসাইট সম্পর্কে প্রশ্ন থাকে বা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে:

আমরা কে?
nunoticeboard.com একটি স্বাধীন শিক্ষামূলক ব্লগ যা বিশেষভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নই এবং এর সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
আমাদের লক্ষ্য কী?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জটিল এবং বিভ্রান্তিকর নোটিশ, প্রক্রিয়া এবং সিস্টেমগুলো সহজ বাংলা ভাষায় ব্যাখ্যা করে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা। আমরা বিশ্বাস করি যে সঠিক তথ্য এবং স্পষ্ট নির্দেশনা পেলে শিক্ষার্থীরা অনেক ঝামেলা এবং সময়ের অপচয় এড়াতে পারবে।
আমাদের প্রতিশ্রুতি:
প্রশ্ন ১: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট কোনটি?
উত্তর: মূল অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হলো www.nu.ac.bd । এটিই সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং আপডেট সোর্স।
প্রশ্ন ২: রেজাল্ট দেখতে কোন সাইটে যাব?
উত্তর: দুটি জনপ্রিয় সাইট আছে:
প্রশ্ন ৩: ফরম ফিলাপ করতে কোথায় যাব?
উত্তর: ems.nu.ac.bd/student-login এ লগইন করে "Form Fill-up" অপশন বেছে নিন।
প্রশ্ন ৪: CGPA দেখবো কীভাবে?
উত্তর: দুটি উপায় আছে:
প্রশ্ন ৫: স্টুডেন্ট পোর্টালে লগইন করতে পারছি না, করণীয় কী?
উত্তর:
প্রশ্ন ৬: সার্ভার ডাউন থাকলে বা ওয়েবসাইট খুলছে না কেন?
উত্তর:
প্রশ্ন ৭: কোন সাইট থেকে রেজাল্ট দেখলে সবচেয়ে নিরাপদ?
উত্তর:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটগুলোর বৈচিত্র্য প্রথম দিকে বিভ্রান্তিকর মনে হতে পারে, কিন্তু এখন আপনি জানেন প্রতিটি সাইট কীসের জন্য ব্যবহার করতে হয়। মনে রাখবেন:
এই গাইডটি সংরক্ষণ করুন এবং যখনই কোনো সমস্যা হয়, ফিরে আসুন। আমরা সর্বদা আপডেট তথ্য এবং সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত। আপনার শিক্ষাগত যাত্রা সুগম হোক!
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪ সালের অনার্স তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আনন্দের খবর এসেছে। আজ (০১ নভেম্বর ২০২৫) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যেখানে ফরম পূরণের ফি উল্লেখযোগ্য হারে কমানো হয়েছে। এই সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি নিয়মিত, অনিয়মিত এবং গ্রেড উন্নয়ন—সব ধরনের পরীক্ষার্থীর জন্য প্রযোজ্য।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, যদিও ফি কমানো হয়েছে, তবে আবেদন ফরম পূরণের সময়সূচি অপরিবর্তিত রয়েছে। ফরম পূরণের শেষ তারিখ এখনও ১৫ নভেম্বর ২০২৫। সুতরাং শিক্ষার্থীদের এখনই প্রস্তুতি নিয়ে দ্রুত ফরম পূরণ করা জরুরি।
এই পোস্টে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব:
এই সংশোধিত বিজ্ঞপ্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের দিক হলো ফরম পূরণের ফি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানো হয়েছে। নিচের টেবিলে পূর্বের ফি এবং সংশোধিত নতুন ফি-এর একটি বিস্তারিত তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হলো। এই তুলনা থেকে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন প্রতিটি খাতে কতটুকু ফি সাশ্রয় হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ:
এই ফি হ্রাসের ফলে একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী (যার ৮টি কোর্স আছে) প্রায় ৫০০-৮০০ টাকা এবং একজন অনিয়মিত/গ্রেড উন্নয়ন পরীক্ষার্থী প্রায় ১,০০০-১,৫০০ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবেন।
যারা ইতোমধ্যে বেশি ফি জমা দিয়েছেন – তাদের জন্য সমাধান
অনেক শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে পূর্বের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বেশি পরিমাণ ফি জমা দিয়ে ফরম পূরণ সম্পন্ন করেছেন। তাদের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক সংবাদ রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে:
"উল্লেখ্য, যে সকল পরীক্ষার্থী ইতোমধ্যে ফরমপূরণ করে ফি জমাদান সম্পন্ন করেছে, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ আবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী পরীক্ষার ফি এর সাথে প্রদত্ত অতিরিক্ত ফি সমন্বয় করা হবে।"
এর অর্থ হলো:
১. ফেরত পাবেন না সরাসরি: অতিরিক্ত জমা দেওয়া টাকা সরাসরি ফেরত দেওয়া হবে না।
২. পরবর্তী পরীক্ষায় সমন্বয়: আপনার অতিরিক্ত জমা দেওয়া টাকা পরবর্তী পরীক্ষার ফি-এর সাথে সমন্বয় (adjust) করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি ৫০০ টাকা বেশি দিয়ে থাকেন, তাহলে ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় সেই ৫০০ টাকা আপনার ফি থেকে কেটে নেওয়া হবে।
৩. আবেদন প্রয়োজন: এই সমন্বয়ের জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ আবেদন করতে হবে। সাধারণত এই আবেদন আপনার কলেজের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে।
৪. কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ: আপনার কলেজের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বা অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন এবং অতিরিক্ত ফি জমার প্রমাণপত্র (রশিদ) দেখিয়ে সমন্বয়ের জন্য আবেদন করুন।
অপরিবর্তিত সময়সূচি – গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহ
যদিও ফি কমানো হয়েছে, তবে ফরম পূরণের মূল সময়সূচি কোনো পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের জন্য ফরম পূরণ এবং জমা দেওয়ার সময়সীমা আগের মতোই রয়েছে। সুতরাং যারা এখনও ফরম পূরণ করেননি, তাদের অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
কারা অনার্স ৩য় বর্ষ পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিম্নলিখিত শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ২০২৪ সালের অনার্স ৩য় বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন:
অনলাইনে ফরম পূরণের পদ্ধতি (সংক্ষেপে)
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৩য় বর্ষ ফরম পূরণ সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক। নিচে ধাপে ধাপে সংক্ষিপ্ত প্রক্রিয়া দেওয়া হলো:
সংশোধিত ফি-এর বিস্তারিত বিবরণ
এবার আসুন সংশোধিত ফি-এর প্রতিটি খাতের বিস্তারিত বিবরণ দেখি:
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও চূড়ান্ত নির্দেশনা
এই সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ কারণ এতে ফি উল্লেখযোগ্য হারে কমানো হয়েছে। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা জরুরি:
১. দ্রুততার সাথে ফরম পূরণ করুন
২. বিষয়কোড সঠিকভাবে নির্বাচন করুন
৩. ডকুমেন্ট যাচাই করুন
৪. রশিদ সংরক্ষণ করুন
৫. কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলুন
৬. যারা ইতোমধ্যে ফি জমা দিয়েছেন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি এবং ফি কমানোর সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক এবং সুখবর। বিশেষত অনিয়মিত এবং গ্রেড উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের জন্য এই ফি হ্রাস একটি বড় সাহায্য। যদিও আবেদনের সময়সূচি অপরিবর্তিত রয়েছে, তবুও শিক্ষার্থীদের এখনই সচেতন হয়ে ১৫ নভেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে ফরম পূরণ সম্পন্ন করা উচিত।
যারা ইতোমধ্যে বেশি ফি জমা দিয়েছেন, তাদের জন্য পরবর্তী পরীক্ষায় সমন্বয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সুতরাং কোনো দুশ্চিন্তা না করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করুন।
আপনার সফলতা কামনা করছি! পরীক্ষায় ভালো করুন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আপডেট জানতে আমাদের ওয়েবসাইট nunoticeboard.com নিয়মিত ভিজিট করুন।